ঘরে বসে কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন | জেনে নিন পাঁচটি জনপ্রিয় উপায়
how to make money on YouTube
ইউটিউব থেকে আয় করবেন কিভাবে আপনি কি তা জানতে চান? তাহলে আমি আপনাকে বলব আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলে আমি ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। ইউটিউব থেকে আয় করা খুব কঠিন কোন বিষয় নয় শুধু একটু বুদ্ধি থাকলেই আপনিও চাইলে করতে পারবেন। আধুনিক এই যুগে আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে মানুষকে ও অনেক আধুনিক হতে হয়। দিন যত যাচ্ছে মানুষ ততই আধুনিক হচ্ছে আর মানুষের ইনকামের উপায় গুলো ও আধুনিক হচ্ছে। আজকালকার এই যুগে এখন আর ইনকামের জন্য বাহিরে যেতে হয়না এখন চাইলে ঘরে বসে ইনকাম করা যায়। আর তার জন্য খুব বেশি কিছু প্রয়োজন নয় শুধু একটু বুদ্ধি থাকলেই ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে মানুষ ঘরে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারে।
চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আমি আজকে আপনাদের পাঁচটি উপায় বলে দিব যে গুলো ফলো করলে আপনিও চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে আয় করার পাঁচটি উপায়
ইউটিউব এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি চাইলে ছোট ছোট ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পুরো পৃথিবী জুড়ে প্রতিদিন 500 কোটির ও বেশি ইউটিউব ভিডিও দেখা হয়। ইউটিউব এমন একটা জায়গা যেখানে সার্চ করলে আপনি যেকোন বিষয়ের ভিডিও পেয়ে যাবেন। কম-বেশি সবাই যে যেভাবে পারছে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করছে। তাহলে আপনি কেন বসে থাকবেন। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয় নিয়েই ভিডিও তৈরি করে তা ইউটিউবে আপলোড করে দিতে পারেন।
আপনি যদি বুদ্ধি খাটিয়ে ক্রিয়েটিভ কোন বিষয়ে ভিডিও আপলোড করতে পারেন এবং সেই ভিডিও যদি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয় তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই তা মানুষের মন জয় করে নিবে এবং আপনার আয় করা সহজ হয়ে যাবে। ইউটিউব থেকে আয় করা যায় এটি হয়তো সবাই জানে কিন্তু ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় সবাই জানে না। তাই যারা বুদ্ধিমান এবং ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে আগ্রহী তারা কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে।
নিচে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার 5 টি উপায় দেয়া হল। আশা করছি এই উপায় গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আপনারা এই উপায় গুলো কাজে লাগিয়ে সহজে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
একটি মানসম্মত প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে:
ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হল একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এই চ্যানেলের মাধ্যমে আপনাকে বিভিন্ন ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করতে হবে। ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে যা আপনাকে পূরণ করতে হবে। সেই সব শর্ত যদি আপনি ভালো ভাবে পূরণ করতে পারেন তবে আপনাকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা দেয়া হবে। ইউটিউব থেকে যদি আপনি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ইউটিউব ব্যবসা সাফল্যের মূলমন্ত্র হচ্ছে দর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কমপক্ষে প্রতিদিন 1000 জন নিয়মিত দর্শক প্রয়োজন।
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয়:
মূলত ইউটিউব থেকে আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে বিজ্ঞাপন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপনি গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন আপনার ভিডিওর উপর দেখিয়ে সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মানে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল যদি বিজ্ঞাপন দাতাদের ব্যবহার করতে দেন তাহলে তার পরিবর্তে আপনার কিছু ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ভিডিওর শুরু মাঝখানে অথবা শেষের দিকে যে বিজ্ঞাপনঃ গুলো এড করা হবে তার বিনিময়ে তারা আপনাকে টাকা দিবে। আর এভাবেই আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
আবার আপনার ভিডিওর যদি ভিউজ ভালো হয় তাহলে সেই ভিউজের উপর নির্ভর করে আপনাকে ইউটিউব থেকে টাকা দেওয়া হবে।তবে এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজ করতে হবে। মনিটাইজ করার পর আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওর উপর গুগল এডসেন্সের কন্টেক্সটুয়াল অ্যাড দেখানো হবে। যার ফলে যখন ইউজাররা আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলো দেখবে তাদের ক্লিক এবং ইম্প্রেশন এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে টাকা দেয়া হবে
স্পনসর্ড ভিডিওর মাধ্যমে আয়:
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যখন বড় হবে অর্থাৎ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার যখন অনেক বেড়ে যাবে যখন অনেক বেশি ট্রাফিক থাকবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে তখন বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং কম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের সার্ভিস এবং প্রোডাক্ট এর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করার জন্য। আপনি আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট এবং বিভিন্ন সার্ভিসকে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করবেন আর তার বিনিময়ে তারা আপনাকে টাকা দিবে।
এই অ্যাডভার্টাইজমেন্ট গুলো আপনি আপনার ভিডিও শুরু এবং শেষে অথবা মাঝে করতে পারবেন। তবে তাদের প্রোডাক্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করার জন্য আপনাকে তারা কত টাকা পেয়ে করবে তা নির্ভর করবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নিউজ এর ওপর। আজকালকার যেসব ইউটিউবারদের চ্যানেলের ট্রাফিক অনেক বেশি তাঁরা এক একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করার জন্য 10 হাজার থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত চার্জ করে থাকে।
চ্যানেলের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা:
এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় কোন প্রোডাক্ট আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রি করে দাও। আর এজন্য আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠান সাথে যোগাযোগ করতে হবে না। এমন বেশ কিছু ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাদের সমস্ত প্রোডাক্ট গুলো আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে রিভিউ করে সেই সব প্রোডাক্টের লীগ আপনার ইউটিউবে ডেসক্রিপশন বক্সে দিতে পারবেন। এরপর যখন কোন ইউজার আপনার সেই দিন থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করবে তখন ফ্রী প্রডাক্ট এর মূল্য অনুযায়ী আপনি কিছু কমিশন পেয়ে যাবেন। আজকাল এমন অনেক ইউটিউবে রয়েছে যারা শুধুমাত্র এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি অ্যামাজন সহ আরো অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের বিভিন্ন প্রোডাক্ট গুলো রিভিউ করতে পারবেন। আপনি আপনার ইউটিউব এর জন্য তৈরি করা যে কোন ভিডিওর মধ্যে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে কিছু কথা বলবেন এবং ছবি দেখাবেন তারপর তাদেরকে বলবেন প্রোডাক্ট কিনতে হলে যাতে ডেসক্রিপশন বক্সে লিঙ্ক থেকে ক্রয় করে ব্যাস এইটুকুই আপনার কাজ এরপর যে কেনার সে নিজেই ওই লিংকে যেয়ে ক্লিক করে প্রোডাক্ট কিনে নিবে। তারপর সেই প্রোডাক্টের দাম এর উপর ভিত্তি করে কিছু কমিশন আপনার একাউন্টে চলে আসবে।
ই-বুক এবং নিজের প্রোডাক্ট সেল করাৱ মাধ্যমে আয় করা:
আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ই-বুক বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি নিজস্ব লেখা কোন বই থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই আপনি আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে খুব সহজেই তা সেল করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে অন্য কারো বই রিভিউ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি আপনার চেনা যদি অন্য কারো বই প্রমোট করেন আর তার বিনিময়ে কেউ সেই বইটি কিনুক অথবা না কিনুক আপনি আপনার নির্ধারিত পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। তবে এসব কিছু তখনই সম্ভব হবে যখন আপনার ইউটিউবে ট্রাফিক অনেক ভালো হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ট্রাফিক দেখেই মূলত সবাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
আবার যদি আপনার নিজস্ব কোন প্রতিষ্ঠান থাকে অথবা ব্যবসা থাকে এবং আপনার সেই ব্যবসার প্রোডাক্ট গুলো আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। আজকাল এমন অনেক রয়েছে যারা অনলাইন বিজনেস করে তারা তাদের প্রোডাক্ট গুলো প্রমোট করার জন্য মূলত ইউটিউব কে টার্গেট করে। আবার অনেকেরই তাদের নিজস্ব দোকান রয়েছে সেই দোকানের প্রোডাক্ট প্রমোট করার জন্য আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল কাজে লাগাতে পারেন। এতে করে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রিও হবে আবার আপনার ইউটিউব এর ট্রাফিক বাড়াবে।
মোটামুটি এই উপায় গুলো ভালোভাবে ফলো করলে আশা করা যায় আপনি সফলভাবে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। মূলত যারা সত্যি সত্যি ইউটিউব থেকে ইনকাম করে সফল হতে চায় তারা একটি উপায় এর জন্য ইউটিউব চ্যানেল খুলে না তারা সব কয়েকটি উপায় এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য ইউটিউব চ্যানেল খোলে। যারা বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে তারা মূলত সব কয়টি পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে মাসে কয়েক লাখ টাকা ইনকাম করতে পারে।
তবে এই ইনকামের রাস্তা দের একদিন দুই দিনে তৈরি হয়নি তারা বছরের-পর-বছর ইউটিউব চ্যানেলে শ্রম এবং সময় দিয়েছে যার বিনিময়ে তারা একটা সময় পর নির্দিষ্ট ট্রাফিক জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছে এবং বিভিন্ন পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ইনকামের রাস্তা বের করেছে। আপনি যদি ধৈর্যশীল না হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে ইনকাম করতে চান তাহলে আমি বলব ইউটিউব থেকে আয় করা আপনার জন্য নয়।
ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার পূর্বে আপনাকে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। নিচের এই বিষয় গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আয়ের সঠিক ক্ষেত্র বেছে নিতে হবে:
ইউটিউব থেকে আয় প্রথম টিপস হচ্ছে সঠিক ক্ষেত্র বেছে নেয়া। আপনাকে প্রথমেই বাছাই করে নিতে হবে যে আপনি কোন ক্ষেত্রে বেশি পারদর্শী ও দক্ষ। এবং কোন বিষয়ের উপর ভিডিও আপলোড করলে আপনার দর্শক বৃদ্ধি পাবে। যে বিষয়গুলোর উপর এর ভিডিও মানুষ বেশি বেশি দেখতে চাই এবং যার উপরে আপনার অভিজ্ঞতা ভাল রয়েছে সেসব বিষয় নিয়েই ভিডিও তৈরি করা উচিত। তাই আয় করার আগে প্রথমে আপনাকে বেছে নিতে হবে যে কোন ক্ষেত্রটি আপনার জন্য পারফেক্ট। ইউটিউব থেকে আয় করার অনেকগুলো ক্ষেত্র রয়েছে যেমন প্রযুক্তি, বিনোদন, শিক্ষা, খেলাধুলা, লাইফ হ্যাকস পর্যটন, কৌতুক, গান ইত্যাদি।
আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে:
ঘরে বসে আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে। ইউটিউব থেকে আয় করা যতটা সহজ ঠিক ততটাই সময়ের ব্যাপার। আপনি চাইলে এক দিনেই ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন না এর জন্য আপনাকে নিরলস পরিশ্রম করে যেতে হবে মাসের-পর-মাস। আপনি যদি বুদ্ধি খাটিয়ে সঠিকভাবে সঠিক ক্ষেত্রে নিজের সময় ব্যয় করতে পারেন তাহলে কয়েক মাসের মধ্যেই আয় করার রাস্তা খুঁজে পাবেন। ইউটিউব থেকে আয় একদিন দুদিন কিংবা এক মাসেই আসবেনা টানা কয়েক মাস নিরলস পরিশ্রম করার পর হয়তো আপনি আয়ের দেখা পাবেন। তাই আপনি যদি ধৈর্যশীল না হন তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার না আসায় উত্তম। তবে যদি আপনার উপর বিশ্বাস থাকে যে আপনি ধৈর্যশীল যথেষ্ট সময় দিয়ে কাজ করতে পারবেন তাহলে আপনি ইউটিউবে কাজ শুরু করতে পারেন।
মানসম্মত ভিডিও তৈরি করতে হবে:
ভিডিও যতই তথ্যবহুল হোক না কেন ভিডিও যদি পেশাদার মানের এবং মানসম্মত না হয় তাহলে তা দর্শকে আকৃষ্ট করতে পারবেনা। তাই দর্শক ধরে রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে ভিডিও উপস্থাপন করতে হবে। মানুষ তখনই আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে যখন আপনার ভিডিওর উপস্থাপনা তাদের ভালো লাগবে। আর যদি চ্যানেল মানুষ সাবস্ক্রাইব না করে তাহলে আপনার দর্শক ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। ভিডিওর কোয়ালিটি সাউন্ড গল্প ইত্যাদি বিষয় খেয়াল রাখুন আর এডিটিং এর সময় যথেষ্ট সময় নিয়ে তা সুন্দরভাবে এডিট করার চেষ্টা করুন।
ভিডিও তৈরীর জন্য একটি সঠিক ভাষা বাছাই করে নিন:
আপনার তৈরি করা ভিডিও গুলো কোন ভাষায় প্রকাশ করলে মানুষ বেশি পছন্দ করবে তা ঠিক করুন। আপনি যদি চান আপনার ভিডিওগুলো পুরো পৃথিবীর মানুষ যাতে সহজেই বুজতে পারে এমন ভাবে তৈরি করতে তাহলে ইংরেজি ভাষায় ভিডিও তৈরি করায় বেশি ভালো হবে। তবে আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ না হন তাহলে বাংলাতেই করা উচিত। তবে মাথায় রাখতে হবে যে আপনার ইউটিউবে যত বেশি ট্রাফিক বাড়বে তত বেশি আপনার ইনকাম বাড়বে। তাই যদি আপনার ভিডিও বিশ্বের সবার কাছে বোধগম্য না হয় তাহলে আপনার ট্রাফিক বাড়াতে অনেক বেগ পেতে হবে। যদিও ইংরেজি ভাষার প্রতিযোগিতা অনেক বেশি তার পরেও আপনি যদি মানসম্মত ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সফল হতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে আয় বাড়ানো যায় কিভাবে:
এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনার বুঝে গিয়েছেন যে ইউটিউব থেকে আয় করার আসল মূলমন্ত্র হচ্ছে আপনার ইউজার। অর্থাৎ যত বেশি আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়বে তত বেশি আপনার ইনকামের রাস্তা সহজ হবে। তবে বেশকিছু পদ্ধতির বা টিপস রয়েছে যেগুলো ফলো করলে আপনি সহজেই আপনার চ্যানেল ভিজিটর বাড়াতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই টিপস গুলো কি কি।
- ট্রেন্ডিং ভিডিও নিয়ে কাজ করা। এমন সব ভিডিও বানান যেগুলো ইন্টারনেট সবথেকে বেশি সার্চ করা হয়।
- যে ভিডিও গুলো চাহিদা সব সময় থাকে সেই ভিডিওগুলো বাড়ানোর চেষ্টা করুন। যেমন এডুকেশন।
- যত বেশি ভিডিওকে ইন্টারেস্টিং করে তুলতে পারবেন ততবেশি ভিডিওতে ভিউ বাড়বে।
- এমনভাবে ভিডিও তৈরি করুন যাতে ইউজাররা লাইক কমেন্ট এবং সাবস্ক্রাইব করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
- অন্যান্য বড় বড় ইউটিউবার দের সাথে যুক্ত হোন এবং একে অন্যের সাথে কলাবোরেট করুন।
- থাম্বলেইন ব্যবহারের সময় চেষ্টা করবেন সেটা যত অ্যাট্রাক্টিভ হয়
- ভিডিও টাইটেল ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগ যোগ করুন।
মোটামুটি এই টিপস গুলোই ভাল ভাবে ফলো করতে পারলে আশা করা যায় আপনার ইউটিউবে ভিজিটর খুব সহজেই বাড়বে। এবং আপনার আয় করতে বেশি সময় লাগবে না।
উপসংহার
দিন যত যাচ্ছে ততই মানুষ ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। আর ইউটিউবে ট্রাফিক সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। মানুষ এখন যেকোনো কিছুই জানার জন্য সর্বপ্রথম ইউটিউবে সার্চ করে। রান্না খেলাধুলা বিনোদন এমন কোন কিছুই নেই যা ইউটিউবে সার্চ করলে পাওয়া যাবে না। ইউটিউবে প্রতিযোগী সংখ্যার যদিও বেশি তবুও আপনি যদি ধৈর্যের সাথে আপনার বুদ্ধি এবং সময় কাজে লাগাতে পারেন তাহলে অবশ্যই সফল হতে পারবেন। সেইসাথে আপনাকে অবশ্যই মানসম্মত ভিডিও তৈরি করার ক্ষমতা রাখতে হবে। ইউটিউব থেকে আয় করা যেমন সহজ ঠিক তেমনি কঠিন। তবে যারা বুদ্ধিমান তারা ঠিকই ইউটিউব থেকে টাকা আয় করে নিচ্ছে।
আশা করা যায় আজকের এই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের মনে আর কোন প্রশ্ন নেই এবং ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় গুলো আপনারা খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন। এরপরেও যদি আপনাদের মনে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে দেরি না করে এখনি আমাদের কমেন্ট করে তা জানিয়ে দিন আমরা খুব শীঘ্রই আপনার কলের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আজ এই পর্যন্তই থাকুক। আবারও নতুন কোনো আরটিকেল নিয়ে শীগ্রই আপনাদের সামনে হাজির হবো সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তিসমূহ পড়তে পারেন: